অবশেষে ব্যাট হাতে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যাক-টু-ব্যাক জয় তুলে নিল রাজশাহী।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচে জয়লাভ করলো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। জেমকন খুলনাকে আজকের দিনের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আজকের দিনের প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করেছে জেমকন খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রাজশাহী।

এদিন শুরুতেই টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জেমকন খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই তৃতীয় বলে উইকেটের দেখা পেয়েছেন গত ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া ক্রিকেটার শেখ মেহেদী হাসান। এই দিনেও ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

দলীয় ২৪ রানের মাথায় ৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১২ রান করে মাহিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তবে অন্য প্রান্ত থেকে ভালই খেলছিলেন ওপেনার ব্যাটসম্যান আনামুল হক বিজয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩ টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত বিদায় নেন জহুরুল ইসলাম অমি। মাত্র ১ রান করে মুগ্ধর দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

বিপদের মুহূর্তে ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আরাফাত সানির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ১৩ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও জেমকন খুলনার হয়ে হাল ধরেন তরুণ ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন এবং আরিফুল হক।

দুর্দান্ত খেলতে থাকা শামীম হোসেন প্যাভিলিয়নে ফেরান এবাদত হোসেন। দলীয় ১০০ রানের মাথায় ২৫ বলে তিন টিচার এবং দুটি ছক্কা সাহায্যে ৩৫ রান করে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শামীম হোসেন।

শামীম হোসেন আউট হলেও গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে দারুন খেলেছেন অলরাউন্ডার আরিফুল হক। ২৫ বলে তিন টিচার এবং দুটি ছক্কায় সাহায্যে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। অন্য প্রান্তে ১২ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শহিদুল ইসলাম।

১৪৬ যাদের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ২৫ রানের মাথায় ২ রান করে আল-আমিন হোসেনের বলে আউট হবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার ব্যাটসম্যান আনিসুল ইসলাম ইমন। উইকেট হারালেও রানের খাতা সচল রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং রনি তালুকদার।

দলীয় ৭২ রানের মাথায় ২০ বলে দুটি চার এবং একটি ছক্কায় সাহায্যে ২৬ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। তবে এরপর এই টুর্নামেন্টের নিজের ব্যক্তিগত প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৪ বলে ৬ টিচার এবং তিনটি ছক্কা সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এরপর ফজলে রাব্বীর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে হাঁটতে থাকে রাজশাহী। দলীয় ১২০ রানের মাথায় ১৬ বলে দুই টিচার এবং ২ টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ রান করে আউট হন রাব্বী। ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন দেখে-শুনে খেলতে থাকেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অবশেষে ব্যাট হাতে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখেন মোহাম্মদ আশরাফুল।

২২ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অন্য প্রান্তে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন কাজী নুরুল হাসান সোহান।

খুলনা : এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, জহুরুল ইসলাম, আরিফুল হক, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, শহীদুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন।

রাজশাহী : আনিসুল ইসলাম ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল, ফজলে রাব্বী, নুরুল হাসান সোহান, মাহেদী হাসান, ফরহাদ রেজা, মুকিদুল ইসলাম, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*